Blog

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী রাজনীতি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনীতি, নির্বাচন, সংস্কার, নাগরিক অধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৫/বি পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনা করে সহনীয় করায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। মতবিনিময় সভায় আগামীর বাংলাদেশে নির্মাণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভাবনা ও তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন দলের যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। একই সাথে সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের নীতিগত অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, পলিটিক্যাল অফিসার জেমস স্টুয়ার্ট, পলিটিক্যাল স্পেশালিষ্ট ফিরোজ আহমেদ ও পলিটিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ইকবাল মাহমুদ।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. বেলাল নূর আজিজী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য খায়রুল আহসান মারজান, মুহাম্মাদ রাজন শিকদার।

  • ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    নিউজ ডেস্ক।

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিক্রিয়া-অবস্থান নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম
    পীর সাহেব চরমোনাই’র প্রেস ব্রিফিং অদ্য ০৬ আগস্ট ২০২৫ খ্রি: বুধবার বিকাল ০৩ ঘটিকায় আইএবি মিলনায়তন, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০)

    নাহমাদুহু ওয়ানু সল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মাবাদ।প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল পাঁচ আগস্ট অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন এবং সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণ আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাই ঘোষণাপত্র এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ গভীর পর্যাবেক্ষণ করেছে এবং তারই ভিত্তিতে আজকে দলের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য এই সংবাদ ব্রিফিং আহবান করা হয়েছে। আপনারা আমাদের আহবানে এসেছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ১৮৫৭ সাল থেকে শুরু করে ৪৭ ও ৭১ এর সকল যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের প্রথম পর্যাবেক্ষণ হলো, ঘোষণার আগে এটা আমরা দেখি নাই। জাতির এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল উপস্থাপনার আগে থেকে না জেনে উপস্থিত থেকে তাতে সমর্থন জানাতে হয়েছে এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর ছিলো। তারপরেও প্রত্যাশিত দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পঠিত হয়েছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। তবে জুলাই ঘোষণাপত্রে ৭১, ৭৫ এর সাত নভেম্বর ও ৯০ এর আন্দোলন সহ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হলেও আমাদের স্বাধীনতার প্রথম অধ্যায় ৪৭ এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড শাপলা হত্যাকান্ড, পিলখানা হত্যাকান্ড ও আলেম-উলামাদের প্রতি নির্যাতন-নিপীড়নের কথা উল্লেখ না করে ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এতে ইতিহাসের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন ধারায় হাসিনা ও আওয়ামী অপকর্মের উল্লেখ আছে। ১৭ তম ধারায় জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের উল্লেখ আছে। কিন্তু কোথায়ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাজনৈতিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির উল্লেখ নাই। ইসলামী আন্দোলন মনে করে এটা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ খুলে দেবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের ধারা ১৯ এ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগের রাজনৈতিক ও আইনী বৈধতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করা হলেও ধারা ২৫ এ জনতা ও তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারকে পরবর্তী জাতীয় সংসদের ওপরে ন্যাস্ত করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এর মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। একই সাথে ধারা ২৭ এ জুলাই অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতিকে “উপযুক্ত” শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে আপেক্ষিক করে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত করে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তার ভাষণ সুলিখিত এবং তার পাঠ আবেগ মিশ্রিত। ভাষণে সরকারের নানা সাফল্যের কথা এসেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি-২৬ এ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা এসেছে। এখানে আমাদের পর্যাবেক্ষণ হলো, জুলাই সনদ এখনো না হওয়া আমাদেরকে সংস্কার নিয়ে অনিশ্চয়তায় নিক্ষেপ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হয়েছে। তিনিও বারংবার বলছেন, ফেব্রুয়ারি দুরে নয়। কিন্তু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত জুলাই সনদ এখনো হয় নি। সংস্কারের রুপরেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় নাই। জনতার প্রত্যাশা অনুসারে সংস্কারকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা না নিয়ে এখনতক সংস্কারকে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত রেখে পুরো সংস্কার কার্যক্রমকে অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনীভিত্তি তৈরী করতে হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুদীর্ঘকাল থেকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবী জানিয়ে আসছে। অভ্যুত্থানের পরে পিআরের পক্ষে ব্যাপক জনমত গঠন হয়েছে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা বারংবার উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কার কমিশনে কথা বলেছি, লিখিত জানিয়েছি। এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিৎ ছিলো পিআর নিয়ে সংস্কার কমিশনে এজেন্ডা রাখা। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে আমাদের বারংবার প্রচেষ্টা সত্যেও নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোন এজেন্ডাই রাখা হয় নাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।

    অভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক সংস্কার সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পিআর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই নির্বাচনের মাস নির্ধারণ করা জনদাবীর প্রতি স্পষ্টত উপেক্ষা করা। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এই জনদাবীর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করবেন না। একই সাথে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, অতিদ্রুত পিআর নিয়ে এজেন্ডা নির্ধারণ করে আলোচনা শুরু করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উচ্চকক্ষের ভোট গ্রহণ কিভাবে হবে এবং উচ্চকক্ষের ক্ষমতা, কার্যপরিধি ও মর্যাদা কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন সিদ্ধান্ত হয় নাই। নির্বাচনের আগে এইসব বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা স্বরণীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছেন। তার ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা, সক্রিয়তা নিয়ে দেশের কেউ-ই আশ্বস্ত হতে পারছে না। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে এর সমাধান হবে তেমন আশা করার যৌক্তিক কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, দেশের আইন-শৃংখলা উন্নতি না হলে আগামী নির্বাচনও কলংকিত হতে পারে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তাই বলবো, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য জনপ্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টের অবশিষ্টাংশের ব্যাপারে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিন। দল নিরপেক্ষ পেশাদার জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে কার্যক্রম জোড়ালো করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ফ্যাসিস্টের বিচারের প্রসঙ্গ এসেছে। তবে এর মাত্রা, ব্যাপকতা ও গতি নিয়ে আমাদের অসন্তোষ আছে। সেটা জানিয়ে বিচার কার্যক্রমের পরিধি আরো বিস্তুৃত করে এর গতি বৃদ্ধি করার আহবান জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন। তবে আইন-শৃংখলা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এখনো দৃশ্যমান হয় নাই। কর্মসংস্থানে আশাজাগানিয়া কিছু এখনো দেখা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনতার কষ্ট এখনো বিদ্যমান। এসব বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান করবো।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতিবাচক রাজনীতি করে। আমরা সবসময় সম্ভবনাকে বড় করে দেখি। আমরা নির্বাচনমুখি দল। নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতিও চলমান। আমরা আশা করি, সরকার আমাদের উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে আমলে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদ দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। পিআর নিয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান হবে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির মাধমে প্রত্যাশামাফিক আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই অভ্যুত্থান স্বার্থকতা পাবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীরসাহেব চরমোনাই) আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে চকরিয়ায় জামায়াতের বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত মিছিল ও পথসভায় জনতার ঢল।

    জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে চকরিয়ায় জামায়াতের বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত মিছিল ও পথসভায় জনতার ঢল।

    #উখিয়া ভয়ের২৪ ডটকম

    ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া শহর এলাকা প্রদক্ষিণ করে জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে মিলিত হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন , কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমেদ আনোয়ারী। প্রধান বক্তা ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক ।

    চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন,
    একটি গোষ্ঠী দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। এর দায় আমরা নির্দিষ্ট কোন দলকে দিতে চাইনা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখান করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকই আমাদের কাছে সম্মানিত।জামায়াতে ইসলামী জনগণের সম্মান ও অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।আনোয়ারী বলেন, দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমাতায়। অথচ প্রশাসন বিভিন্ন দলকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তিনি প্রশাসনকে কোন দলের পক্ষাবলম্বন না করে জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আমরা সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাবো। সভা শেষে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুল্লাহ আল ফারুককে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। সমাবেশের প্রধান বক্তা চকরিয়া পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল স্পিরিট ছিল একটি বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, ইসলামী আদর্শ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন দেশ গঠন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, একবছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশে দুর্নীতি, বৈষম্য, দখলবাজি ও ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে জনগণ মুক্তি পায়নি। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণ, চকরিয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাতামুহুরিতে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যার আসনে জনবল ও প্রয়োজনীয় মেশিনারীজ সংযুক্ত করে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও তিনি মাতামুহুরিকে একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ঘোষণার দাবি জানান। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ , জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আক্তার আহমদ, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ আবু তালহা। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন পৌরসভা জামায়াতের

    আমীর আরিফুল কবির, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম, চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, প্রাক্তন উপজেলা আমীর মাওলানা সাবের আহমদ ও মাওলানা মোজাম্মেল হক, চকরিয়া উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা ছৈয়দ করিম, পৌর সেক্রেটারী মাওলানা কুতুবউদ্দিন হেলালী , মাতামুহুরি সেক্রেটারী হোসনে মোবারক, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ বাবর, বরইতলি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

  • বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামিক রাজনৈতিক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। এবং বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নির্বাহী সভাপতি মেজর আমীন আহমেদ আফসারী। আলোচনা সভায় মৌলিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার ভারসাম্য, সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা ও স্বনির্ভরতা নিয়ে আলোচনা হয়। এবং পিআর ও সংস্কার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগীতামূলক কর্মসূচিতেতে ঐক্যমত থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংস্কার জোটের মূখ্য সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, বাংলাদেশ নতুনধারা জনতা পার্টির আহবায়ক মুহাম্মাদ আব্দুল আহাদ নুর, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টির লায়ন মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের জিলানী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্মমহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম এবং দলের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।

  • ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ- অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

    ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ- অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

    #UkhiyaVoice24.Com

    পিআর পদ্ধতির জন্য লড়াইয়ের সাথে সাথে মানুষের ভোটের সম্মান নিশ্চিত করতে আসনভিত্তিক নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ২৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি: সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (৫৫/বি, পুরানা পল্টন-৩য় তলা) ঢাকা, চট্রগ্রাম. বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসনের প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্ধারিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাষ্ট্র ক্ষমতায় জনগণের ভোটের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবীতে বদ্ধপরিকর। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। একই সাথে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। কারণ, আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে হবে। সেজন্য আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির ওয়াকআউট করার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, শাসন বিভাগ জনতার অনুমোদিত আইনের বলে ক্ষমতায়িত হয় এবং সেই আইনের জন্য জনতার কাছে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অতিতের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, জনতার কাছে দায়বদ্ধতা এড়াতে নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। সেজন্যই নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতায় ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই এখন ডেলিগেশন অফ পাওয়ার বা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ একটি বহুল চর্চিত সুশাসন নির্দেশক। সুশাসন প্রতিষ্ঠার এমন পরীক্ষিত ও বহুল চর্চিত নীতির ক্ষেত্রে বিএনপির অনিহা আমাদেরকে শংকিত করে। আমরা আশা করবো ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণে বিএনপি ঐকমত্য কমিশনকে সহায়তা করবে। সাক্ষাৎকারে প্রতিটি আসন থেকে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সাথে নির্বাচনী কৌশল, সম্ভাব্যতা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। দলের মহাসচিব মাওলানা ইউুনস আহমদ বলেন, আমাদের আমীরের ঘোষিত “একবাক্সে ভোট”নীতি নিয়ে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। আমরা আমাদের মতো করে কাজ গোছানোর জন্য প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারা প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের আগে জাতীয় স্বার্থে কোন দলকে কোন আসন ছেড়ে দিতে হলে নির্দ্বিধায় আমরা তা করবো। ফলে আসন ভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার সাথে ‘একবাক্সে ভোট’ নীতির কোন অসামঞ্জস্যতা নাই।

  • চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    ঐক্য ও ইসলামি রাজনীতি

    অদ্য ২৫ জুলাই,২০২৫, শুক্রবার সাড়ে এগারোটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের প্রধান ইসলামী সংগঠনসমূহের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বিশেষ সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য আলোচনা অব্যাহত রাখা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন চার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ফ্যাসিবাদের বিচার ও মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমাদ আবদুল কাদের, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

  • কিশোরগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।

    কিশোরগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।

    #UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম শাহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (মোমেনশাহী বিভাগ) মুফতি এহতেশামুল হক আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান উপদেষ্টা মুফতি আজিজুলর রহমান (জার্মানি), জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা আলমগীর হোসাইন।

  • আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    #UkhiyaVoice24.Com

    ২০ জুলাই’২৫ রবিবার, সম্মানিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি আমীরে জামায়াতের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান রবের নিকট দো’য়া করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর জনাব ফখরুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের মেডিকেল থানা আমীর ডা. খালিদুজ্জামান।

  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    #UkhiyaVoice24.Com


    জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায়, জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আসে তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে- ডা. শফিকুর রহমান

    অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থাসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ ১৯ জুলাই বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অর্থসহ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যাদের ত্যাগ ও কুরবানীর বিনিময় ফ্যাসিবাদীদের পতন হয়েছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা তাদের কথা চিরদিন স্মরণ করব। তাদের কল্যাণের জন্য যা করা দরকার তাই আমরা করবো। আমরা তাদের যেন অবজ্ঞা না করি। অন্য দলকে যেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করি। আমরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা করবো। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করব। যারা এখানে কথা বলেছেন তারা আমার মনের কথাই বলেছেন। আমাদের আর একটি লড়াই করতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের এমপি প্রার্থীগণ নির্বাচিত হলে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী নিবে না, রাষ্ট্রীয় ফ্ল্যাট গ্রহণ করবে না। সাড়া দেশের গণহত্যা,২৪শের গণহত্যা, পিলখানার গণহত্যা, শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সমাবেশে আসার সমর পথে খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু সাঈদ, পাবনা জেলার ঈশ্বর্দী উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকায় আসার পথে এবং রংপুরের শাহ আলম সমাবেশস্থলে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমীরে জামায়াত তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার- পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। আমীরে জামায়াত নিন্মোক্ত বিষয়গুলোর উপর মূল্যবান বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বক্তৃতা দানকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পক্ষে বক্তব্য রাখা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে নির্যাতিতদের সম্পর্কে, নির্যাতিত প্রবাসী ভাই-বোনদের ব্যাপারে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের গুরুত্ব তুলে ধরে, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের (প্রবাসী) অবদান তুলে ধরে তাদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির বিষয়ে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ সাধনের ব্যাপারে এবং দেশবাসী ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কিছু মূল্যবান কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ ইউনুস আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, খেলাফত আন্দোলনের আমীর আবু জাফর কাসেমী, গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নূরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডা. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এড. একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা।

    জাতীয় সমাবেশে জামায়াত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড.এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. জসীম উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, অন্যতম জুলাই যোদ্ধা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কাইয়ুম।

    সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, জনাব আবদুর রব, অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ ও জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭ দফা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। আমরা ৭ দফা পূর্ণভাবে সমর্থন করছি। ইসলামী ঝান্ডা নিয়ে যুবকরা এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আওয়ামী লীগ ধ্বংস, অভিসাপ, টাকা পাচার, জুলুম নির্যাতনের নাম। তারা দেশকে জঙ্গলে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদীরা আবার আসলে কারো পিটের চামড়া থাকবে না, সারা বিশ্বে ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। আমাদের একটি দল পিআর পদ্ধতি চায় না। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন বলেন, শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র সুরক্ষা করা যাবে না। সুরক্ষা করতে হলে মৌলিক সংস্কার করতে হবে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। পিআর যারা চায় না তারা জাতির সাথে প্রতারণা করে। মুসলমানদের ন্যুনতম অধিকার ফ্যাসিবাদীরা দেয়নি। এ দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক জনাব সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশে মুজিববাদের স্থান হবে না। খুনী হাসিনার বিচার হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের স্থান হবে না। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ হতে হবে। ৭২ সালের সংবিধান এক পাশে রাখতে হবে। নারী অধিকার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার পূরণ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য, মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ১৪ বছর জালেম সরকারের কারাগারে বন্দী ছিলাম। আমাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তাই আমি বলতে চাই যে, দেশ যেমন নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তেমনি আমি নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাকে হত্যার আয়োজন করা হয়েছিলো। আমি অন্তবর্তিকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আমাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও জেলে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। যারা তাদের হত্যা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার করতে হবে। তাদের কি অপরাধ ছিলো? তাদের অপরাধ ছিলো তারা এ দেশের জনগণের পক্ষে ও ইসলামের পক্ষে ছিলো।

    আজ কারা পালিয়েছে? জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী পালায়নি। আমরা ৫৪ বছর বাংলাদেশ দেখলাম। কিন্তু ৫৪ বছরে বাংলাদেশের কোন পরিবর্তন হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে কুরআনের আইন দ্বারা দেশ পরিচালনা করতে হবে। আমরা আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন চাই।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ইসলাম যেখানে থাকে সেখানে শান্তি থাকে। যেখানে ইসলামী নেই সেখানে শান্তি থাকতে পাবে না। সেখানে দুর্নীতি বাসাবাঁধে। আপনারা কি আর দুঃখ কষ্ট চলতে দিতে চান। না দিতে চাইলে সংসদে চলবে ইসলামী আইন। অন্য কোন আইন সংসদে চলবে না। শক্তি দিয়ে অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে চাই। বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশবাসী সকলের প্রিয় দল। নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দল। জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। দেশের জনগণের স্বার্থে জামায়াতের লড়াই অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াতের বৃদ্ধ নেতাদের জেলে বন্দী করে রেখে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। আমীরে জামায়াতের নির্দেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সাংবাদিক,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা-সহ সমাবেশ বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতাকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। কষ্ট শিকার করে সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করায় ঢাকাবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।

  • ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    গতকাল খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য মিডিয়ায় যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলে মুসলিম এডিসি বা মুসলিম এসি ল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা হলেও একই নিয়ম। মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে। সুতরাং এর নিয়ন্ত্রণভার থাকবে সরকারের হাতে। অপর দিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ বেসরকারি মসজিদের কমিটি, সভাপতি, সেক্রেটারি কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন মুসল্লী, মোতুয়াল্লী ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ডিসি অথবা ইউএনও সভাপতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এসব মসজিদ তো বেসরকারি। সরকার এসব মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে না। তবে কোন কমিটির সাথে ইমাম, খতিব ও মুয়াযযিনের যদি বিরোধ দেখা দেয় বা সংকট তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবেন। এটাই হল মূল প্রতিপাদ্য।